শুধুমাত্র বেসিক কার্ডিয়াক লাইফ সাপোর্ট ও অ্যাডভান্সড লাইফ সাপোর্ট সম্পর্কে সচেতনতা এবং প্রশিক্ষণের অভাবে অনেকেই হৃৎক্রিয়া বন্ধ হয়ে অকালে মারা যায়। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে আক্রান্তদের শতকরা ৭৫ ভাগ হাসপাতালের বাইরে তথা নিজ বাসস্থানে অথবা কর্মস্থলে এ অবস্থায় পতিত হয়ে থাকে। উন্নত বিশ্বে এ ধরনের রোগীদের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে সিপিআর (কার্ডিও-পালমোনারী রিসাসিটিশন) প্রশিক্ষন কার্যক্রম অভাবনীয় সাফল্য বয়ে এনেছে। উদহারন স্বরূপ দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ায় যেমন সিংগাপুর ও মালয়েশিয়ায় ‘জাতীয় রিসাসিটেশন কাউন্সীল’ গঠন করা হয়েছে। এমনকি ভারতেও দেশব্যপী প্যারামেডিকস্ ও এ্যম্বুলেন্স ড্রাইভারদের বেসিক লাইফ সাপোর্ট স্কিল উন্নয়নে কার্যকরী প্রশিক্ষন কার্যক্রম অব্যাহতভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের ন্যায় উন্নয়নশীল দেশে এ ধরনের কার্যক্রমের তেমন প্রশিক্ষণ-প্রয়োগ সুবিধা নেই বললেই চলে। তাই দেশে প্রশিক্ষিত ও পেশাদার জনশক্তি গড়ে তুলতে এবং মডেল সিআরপি স্টেশন স্থাপনের লক্ষ্যে গত ১৯ জুলাই ২০০৯ থেকে স্কয়ার হসপিটালস লিমিটেডের উদ্যোগে এবং সিঙ্গাপুরের সিং হেলথ গ্র“প এবং আইসিডিডিআরবি-এর সম্মিলিত ব্যবস্থাপনায় প্রথমবরের মতো ৪ দিনব্যাপী বেসিক কার্ডিয়াক লাইফ সাপোর্ট ও অ্যাডভান্সড লাইফ সাপোর্ট বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়েছে। এতে প্রশিক্ষণ প্রদান করছেন সিঙ্গাপুর রিসাসিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ডাঃ প্রফেসর ভেঙ্কাটারামান আনান্থারামান ও সিংগাপুর জেনারেল হসপিটালের ইমার্জেন্সী মেডিসিনের কনসাল্টেন্ট ডা: রবীন্দ এ্যান্থনী চার্লস। উক্ত প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা জনাব সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্কয়ার হসিপটালের ডাইরেক্টর-মেডিক্যাল সার্ভিসেস প্রফে: সানাওয়ার হোসেন, এ্যাসোসিয়েট ডাইরেক্টর-মেডিক্যাল সার্ভিসেস ডাঃ আমের ওয়াহেদ এবং আইসিইউ বিভাগের প্রধান ডাঃ মির্জা নাজিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। চিকিৎসকগণ এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে সাধারণ জনগণকে কিভাবে সম্পৃক্ত করা যায় তা নিয়ে সাংবদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে চিকিৎসক’রা ছাড়াও স্কয়ার হাসপাতালের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।