আফ্রিকার এক দেশ সোমালিয়া। সেখানের ৫৪ বছর বয়সী সুলায়মান মোহাম্মেদ আলী এবং তার প্রিয় স্ত্রী ৩১ বছর বয়সী রাহমা সুলায়মান প্রায় ১০ বছর ধরে অপেক্ষা করছিলেন একটি মিষ্টি শিশুর জন্য। সোমালিয়াতে তারা অনেক বছর ধরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন কিন্তু কোলের মধ্যে ছোট্ট শিশুটি আর আসেনা।
বর্তমানে বাংলাদেশে সোমালিয়ার অনেক তরুণ লেখা পড়া করছে। স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সেসব তরুণ থেকে পাওয়া তথ্যের সূত্র ধরে এই দম্পতি বাংলাদেশে আসেন এবং স্কয়ার হাসপাতালের আই.ভি.এফ. সেন্টারের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার রেহনুমা জাহানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা শুরু করেন।
বিশ্বমানের এমব্রায়ো ল্যাব, রোগীদের ভিন্নতা অনুযায়ী চিকিৎসা, এক কথায় বন্ধ্যাত্বের আধুনিক চিকিৎসার প্রায় সবগুলি সুবিধা সম্পন্ন স্কয়ার আই.ভি.এফ. সেন্টার তাদের বন্ধ্যাত্ব লাঘবের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখে যে, স্বামী সুলায়মান মোহাম্মেদ আংশিক বন্ধ্যাত্বে ভুগছেন। তার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে শুক্রাণু তৈরি হলেও সেগুলো নিস্ক্রান্ত হয়ে বীর্জ প্রবাহের মূলধারায় পৌঁছুতে ব্যর্থ হচ্ছে।
স্কয়ার ইউরোলজি বিভাগ সুলায়মান মোহাম্মাদের শুক্রাণু নির্গমনের পথটি চালু করার জন্য একটি অপারেশন করে। এরপর আই.ভি.এফ সেন্টারের তত্ত্বাবধানে এবং সর্বশক্তিমানের অশেষ রহমতে স্ত্রী রাহমা সুলায়মান কিছুদিনের মধ্যে গর্ভবতী হন। বহুবছরের অপেক্ষা আর তীব্র আকাঙ্খার একটা আনন্দদায়ক সফলতা স্কয়ার এনে দেয়।